জনগণ বিএনপিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রতিশোধের নেশায় বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে। আমরা সেই সন্ত্রাসের উত্তাপ থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, দূরে রাখার চেষ্টা করেছি।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এই বিবৃতি দেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মনে রাখা উচিত, অতীতের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের কাছ থেকে মারাত্মকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এরপরও তারা ২০১৪ জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টায় সারাদেশে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসন্ত্রাস চালায়।
বিএনপি তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েমে আবারও সেসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে মাঠে নামিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সেসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকার কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল নিজেই বলেছেন, তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ এসব সমাবেশে সরকার বাধা দেয়নি। সরকার শুধু সতর্ক ছিল এই সুযোগে বিএনপি যেন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না চালাতে পারে।
স্বাভাবিক অবস্থায় জনগণকে শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের প্রধানতম দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শান্তি-নিরাপত্তার পাশাপাশি চলমান বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করে চলেছে সরকার। তথ্যের অবাধ প্রবাহের এই যুগে জনগণ ভালো করেই জানে, বৈশ্বিক সংকটের অভিঘাত কত গভীর এবং তা মোকাবিলায় সরকার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং জনগণ ফুঁসে ওঠেনি। বরং বৈশ্বিক সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এই মানবিক সঙ্কটে যখন বিশ্বব্যাপী সকল রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন সমন্বিত প্রয়াস চালাচ্ছে, তখন বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে। তাদের নেতারা নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য উস্কানি দিচ্ছেন। এতে তারা জনগণের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে দিগভ্রান্ত হয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছেন।
তিনি বলেন, আমরা জানি, এরপরই বিএনপি এই ব্যর্থতা ঘুচাতে তাদের স্বভাবজাত সন্ত্রাসের পথে ফিরে যাবে। তবে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই নেতা বলেন, দেশের জনগণ ভালো করেই জানেন, তারা কোথায় আছে। আর বিএনপির আমলে কোথায় ছিলেন। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আর্থ-সামাজিক সবক্ষেত্রেই বাংলাদেশ আজ এক মজবুত ভীতের উপর দাঁড়িয়েছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে। তাই জনগণ নিশ্চিতভাবে বিএনপির সেই অনুর্বর ও অন্ধকারময় সময়ে ফিরে যেতে চায় না।