জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণার ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় তার বহিষ্কার চান বিক্ষুব্ধ অনুসারীরা।
গতকাল শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো এবং কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
তদন্ত কমিটির ৪ জন সদস্য হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা ও এনামুল হক তানান এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক শিশির ও উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সাফরিন সুরাইয়া।
বিজ্ঞপ্তিতে জাবি ছাত্রলীগ শাখার সকল নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখার এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
এদিকে তদন্ত কমিটি গঠনের পর সাধারণ সম্পাদকের বহিষ্কার চান ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। বহিষ্কার চাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়া থেকে আজ অবধি কর্মীদের সাথে তিনি সমন্বয় করতে পারেননি। এছাড়াও নানারকম দুর্নীতি প্রকাশিত হয়েছে, সে জায়গা থেকে আমরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। এখন তদন্ত কমিটির কাছে আমাদের চাওয়া হলো তারা এখানে এসে আমাদের কথা শুনুক, সবকিছু যাচাই করুক। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা সেক্রেটারির বহিস্কারের দাবি জানাই।
এর আগে গত মঙ্গলবার সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে চিন্তা না করে বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী এলাকার ‘জমি দখল’ এর মত ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকা, সংগঠনের কর্মীদের খোঁজ না রাখা, কমিটির ২ বছর অতিক্রান্ত হবার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে সমন্বয় না করা, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও রাজনীতি বিকেন্দ্রীকরণ না করে নিজ হল কেন্দ্রিক চিন্তাচেতনা পোষণ করার অভিযোগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন অনুসারীরা।
এছাড়াও লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটে শিক্ষক পদে ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর চাকুরীর জন্য উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের বাসায় বৈঠক করেন তিনি।