জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হলরুমের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামুনের সহযোগী মুরাদকেও গ্রেপ্তার করেছে বাহিনীটি। তাকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার এএসপি আল আমিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে নিয়ে আসেন মামুন। তার স্বামী অভিযুক্ত মামুনকে জানান, তারা কিছু আসবাবপত্র কিনবেন। তখন মামুন তাকে বলেন, এক আসবাবপত্র দোকানে তার টাকা পাওনা আছে, কিন্তু দোকানদার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। ওই দোকান থেকে আসবাবপত্র কিনে টাকাটা যাতে মামুনকে দেওয়া হয়। তাকে নিয়ে দোকানে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর স্বামীর।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘মামুন আমাদের বাসায় ভাড়া থাকত। তিনি আমার স্বামীর মাধ্যমে কল দিয়ে আমাকে তার রেখে যাওয়া জিনিসপত্র নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বলেন। আমি তার জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে যাই। তখন তিনি আমাদের বাসায় থাকবেন না বলে জানান। এছাড়া তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলের মোস্তাফিজের কাছে থাকবে বলেও জানান।’
এরপর মোস্তাফিজ ও মামুন মিলে ভুক্তভোগীর স্বামীকে মীর মশাররফ হোসেন হলে আটকে রাখেন। পরে জামা-কাপড় নিয়ে ওই নারী ক্যাম্পাসে আসলে তার কাছ থেকে সেগুলো নিয়ে কক্ষে রেখে আসতে যান মামুন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘পরে আমার স্বামী অন্যদিকে থেকে আসবে বলে আমাকে হলের সামনে থেকে পাশের জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে মোস্তাফিজও ছিল। তখন তারা আমাকে ধর্ষণ করে।’
জানা যায়, মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান থাকতেন।
এ বিষয়ে হলের একাধিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতারা জানান, মোস্তাফিজুরের সঙ্গে মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াবার ব্যবসা করতেন। মামুন প্রায়ই হলে যাতায়াত করতেন।