আব্দুল্লাহ আল আলীম, দেবিদ্বার প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবিদ্বারে জিপির নামে অতিরিক্তি চাঁদা আদায়, জিপির জন্য চালকদের মারধরের প্রতিবাদে এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে সিএনজি স্ট্যান্ড ইজারাদানকারী পৌরনির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামের অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে সিএনজি-ইজিবাইক চালকরা।
রবিবার(২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সিএনজি ও অটোরিক্সা চালকরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে বিভিন্ন দাবী দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি পাঠাতে যায়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা না থাকায় অফিস সহকারীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
এ সময় নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা।
এসময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষকলীগের কিছু নেতা-কর্মী এসে প্রথমে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি একপর্যায়ে অবরোধ পণ্ড হয়ে যায়। পরে ইজারাদারদের পক্ষে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বিক্ষোভকারীদের সমঝোতার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
বিক্ষোভ চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সিএনজি চালক মো. আব্দুর রশিদ, মো. আবুল কালাম, আলী হোসেন প্রমুখ।
পৌর-সচিব মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাকে অভিযুক্ত করবে কেন? পৌর প্রশাসকের স্বাক্ষরে ইজারা দেয়া হয়েছে। হাইওয়ে সড়কে পূর্ব নিয়মেই ইজারা দেয়া হয়েছে। হাইওয়ে সড়কের পান্নারপুল-বাখরাবাদ স্ট্যান্ড তালিকায় থাকলেও ইজারা দেয়া হয়নি। ওখানে টোলের নামে চাঁদা তোলার অভিযোগ পেয়ে বাজার পরিদর্শক আলমগীর হোসেনকে তা বন্ধ করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমলকৃষ্ণ ধর বলেন, ইজারাদার নিয়ম বহির্ভূতভাবে টোল বা চাঁদা আদায় করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই ইজারা বাতিল করতে পারেন। নতুন করে ইজারা প্রদানের বিষয় আমাকে জানানো হয়নি। ইজারা দেওয়া হলে চালক, ইজারাদার, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে করা প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন, টোল আদায়ের পরিমাণ নিয়ে চালকদের সাথে মতবিনিময় এবং সিদ্ধান্তগুলো মাইকিং করে জানিয়ে দিলে চালকরা বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, সড়ক অবরোধ করার সুযোগ পেতো না। ইজারাদারও টোলের নামে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের সুযোগ ছিলো না। পৌর সভা কর্মকর্তাদের খামখেয়ালীর দায়ভার বর্তাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর।