প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শনিবার উদ্বোধন করেছেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকার এই নির্মাণ কাজের সূচনা করেন।
নির্মাণ কাজ শেষ হলে ২৪ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল হয়ে নবীনগর মোড় ও ইপিজেড হয়ে চন্দ্রা মোড়ের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ৩০টি জেলার মানুষ দ্রুত ও সহজে রাজধানীতে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে পারবে। অনুমান অনুযায়ী এটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ বৃদ্ধি করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
২০২৬ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকার সঙ্গে ৩০টি জেলার সংযোগকারী আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা সড়কে যানজট কমানো।
এই প্রকল্পে ১১ কিলোমিটারের একটি ঢালু অংশ থাকবে। ফ্লাইওভারের উভয় পাশে ১৪ দশমিক ২৮ কিলোমিটার চার লেনের সংযোগ সড়ক হবে।
২০১৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে যা মূলত ২০২২ সালে জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
চীনের সঙ্গে ঋণচুক্তি জটিলতায় ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ গত পাঁচ বছরেও এগোয়নি।
সরকার এবং চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০২১ সালের অক্টোবরে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য ১১০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের পুরো ব্যয় চীনের বহন করার কথা থাকলেও দেশটির ঋণ নীতির পরিবর্তনের কারণে এখন মোট ব্যয়ের ৮৫ শতাংশ জোগান দিচ্ছে।
চলতি বছরের জুনে একনেক বৈঠকে প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এখন প্রকল্প ব্যয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা থেকে ৬৫২ কোটি টাকা বেড়ে ১৭ দশমিক ৫৫৩ কোটি টাকা হয়েছে।
জমি উন্নয়ন ও উপকরণ ক্রয়ের মতো কিছু প্রাক-নির্মাণ কাজ পূর্বে শুরু হয়েছিল। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে প্রকল্পের মূল নির্মাণ কাজ শুরু করলেন।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কুতুবখাল পয়েন্ট পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার জুড়ে চলবে।
মোট ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুটি এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা শহরের যানজটে সাধারণত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার যাত্রীদের সাশ্রয় করবে।