চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট ৪১৫ যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে। আজ রোববার (২১ মে) ভোর ৩টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে জেদ্দায় পৌঁছাবে।
এছাড়াও, বিমানের আরও ৪ ফ্লাইট আজ দিনের অন্যান্য সময় হজ যাত্রীদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে হজযাত্রীদের বিদায় জানান।
সে সময় বিমান প্রতিমন্ত্রী হজযাত্রীদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকার জন্য দোয়া কামনা করেন।
এর আগে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সুষ্ঠু হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লিট আধুনিকায়নের ফলে সক্ষমতা বাড়ায় ২০১৯ সাল থেকে বিমান তাদের নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়ে হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এবছরও হজযাত্রী পরিবহনে বিমান তাদের ৪টি অত্যাধুনিক ও সুপরিসর বোয়িং-৭৭৭ ইআর এবং ১টি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারসহ মোট ৫টি উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণেই ২০১৯ সাল থেকে ‘রোড টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ’ এর আওতায় হজযাত্রীদের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় বিমানবন্দরে সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সৌদি আরবে পৌঁছার পর তাদের লাগেজও নির্ধারিত আবাসনে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে সম্মানিত হজযাত্রীদের পরিশ্রম, সময় ও কষ্ট লাঘব হয়েছে। হজযাত্রা হয়েছে সহজ ও আরামদায়ক। প্রধানমন্ত্রীর এ সফল ও জনবান্ধব কূটনৈতিক উদ্যোগের সম্পূর্ণ সুবিধা যাতে হজযাত্রীরা পান সেই ব্যাপারে আমরা সবসময় সচেষ্ট থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সাল হতে হজের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু ও মনিটরিং বৃদ্ধির কারণে কোনো হজযাত্রীকেই এরপর থেকে এয়ারলাইন্সের টিকিট নিয়ে কোনো প্রকার হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়নি। ইন শা আল্লাহ এবারও তারা টিকিট নিয়ে কোনো প্রকার সমস্যায় পড়বেন না। হজ পরিবহনের সব বিষয় আমরা সার্বক্ষণিক ও নিবিড় মনিটরিং করছি। সুষ্ঠুভাবে হজ পরিবহন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সম্মানিত হজযাত্রীদের ও সব অংশীজনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এবছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে মোট যাত্রীর অর্ধেক ৬১ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে বিমান। বাকি হজযাত্রী পরিবহণ করবে সাউদিয়া এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস। বিমান প্রি-হজে ২১ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ১৬২টি ও পোস্ট-হজে ২ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ১৬৮টি করে মোট ৩৩০টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। বিমান গত বছরের মতো এবারও ঢাকা থেকে জেদ্দা ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকেও জেদ্দায় ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
এর আগে শুক্রবার (১৯ মে) হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।