ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম। এসময় তিনি এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এমন অভিযোগ করেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) ভোট চলাকালীন বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
তরিকুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার নেই, শুধু একটি নির্দিষ্ট দলের লোকজন আছে সবখানে। অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব না। আমি আশা করেছিলাম নির্বাচন হয়তো সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ হবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। আমি বারবার নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, কিন্তু তারা আমাদের মতো ছোট স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মূল্যায়ন করে না। আমাদের কোনো কথা, অভিযোগ তারা আমলে নেয় না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ঢুকতে না দেওয়া এমন সব কারণে নিজের আত্মসম্মান থেকে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমি এই নির্বাচন বর্জন করলাম, সরে দাঁড়ালাম।
এজেন্টদের বের করে দেওয়ার একই অভিযোগ করেছেন একতারা প্রতীকের প্রার্থী কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমও।
হিরো আলম বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না জানি না। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। আমার সঙ্গে কয়েকজন এজেন্ট আছে, তাদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে তারা একতরফা ভোট করার চেষ্টা করছে। তা না হলে কেন আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হবে? মহিলা এজেন্টরাও ছাড় পাননি, তাদেরও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।
হিরো আলম আরও বলেন, ফলাফল কী হবে সেটা বিষয় না, আমরা শেষ সময় পর্যন্ত দেখব। দেখতে চাই তারা আমাদের ওপর কত অত্যাচার করতে পারে। নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানানোর পর বললো যে তারা দেখবে। এভাবে চললে তাদের ওপর আস্থা রাখা সম্ভব নয়।
তবে নির্বাচন নিয়ে তরিকুল, হিরো আলমদের নানা অভিযোগ থাকলেও অভিযোগ নেই আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতের।
নির্বাচন নিয়ে আরাফাতের কোনো অভিযোগ তো নেই-ই বরং জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। আরাফাত বলেন, জয়ের বিষয়ে আমি খুব আশাবাদী। মানুষ নৌকা ছাড়া ভোট দেবে না, তাই বিজয় সুনিশ্চিত।