ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় নতুন করে সংযোজন হচ্ছে ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ কোটা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির একাধিক সদস্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এ দাবি তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
ভর্তি পরীক্ষায় পূর্বে থাকা কোটাগুলোর সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার কিংবা হিজড়া সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি কার্যকর করা হবে তাদের পরিচয়পত্র নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সভায়।
সভায় এ কোটা যুক্ত করার বিষয়ে প্রস্তাব তোলেন কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের চেয়ারপারসন তাওহিদা জাহান। পরে উপাচার্যের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়।
তাওহিদা জাহান বলেন, হিজড়া অথবা ট্রান্সজেন্ডার কোটা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবটি আমলে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এর মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য আমরা এই প্রথম ট্রান্সজেন্ডার কোটা অন্তর্ভুক্তি করেছি। অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের জন্য এবং সুবিধাবঞ্চিত সব মানুষকে সুযোগ করে দেওয়া জরুরি। তাই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যাকালীন কোর্সে ভর্তির সুযাগ পেয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী অংকিতা ইসলাম। কোটা চালুর বিষয়ে একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, এটা আসলে অনেক ভালো হয়েছে। আমাদের সংবিধানেও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের কোটা সুবিধা দেওয়ার কথা বলা আছে। আমরা বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী।
তিনি জানান,সমাজে সাম্যতা আনতে আমাদের অবশ্যই কোটার দরকার আছে। অন্যদের মতো সুবিধা পেয়ে অগ্রসর হতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় টান্সজেন্ডার শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ উদ্যোগকে নব দিগন্তের সূচনা হিসেবেই দেখছেন অংকিতা।