মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনা বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সাথে বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি। জানালেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতায় সমর্থন করে না।
অবশ্য চীনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, যদি তাইওয়ান নিয়ে যদি কোনো সংকট হতো, তা অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করতে পারত এবং যা পুরো বিশ্বকে আক্রান্ত করত।
এর ব্যাখ্যা তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রায় ৫০ শতাংশ বাণিজ্যিক জাহাজ তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাতায়াত করে। রপ্তানির ৭০ শতাংশ সেমি কনডাক্টর তাইওয়ানের তৈরি।
এসময় ব্লিঙ্কেন জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনো ‘প্রাণঘাতী সহায়তা’ দেবে না চীন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং একে স্থিতিশীল রাখা দু- দেশেরই দায়িত্ব।
যুক্তরাষ্ট্র চীনকে অর্থনৈতিকভাবে বোতলবন্দি করতে চাইছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ রকম কিছু করাটা মার্কিন স্বার্থের অনুকূল নয়, এবং চীনের অর্থনৈতিক সাফল্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক।
ব্লিঙ্কেন বলেন, কিন্তু আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্যে ‘বিশেষ কিছু প্রযুক্তি’ অবশ্যই আগলে রাখতে হবে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ককে স্থিতিশীল রাখা প্রয়োজন, এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতা সংঘাতে পরিণত হোক এটা কাম্য নয়।
এদিকে চীনা প্রেসিডেন্ট শিয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয় – চীনা পক্ষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে, এবং সুনির্দিষ্ট কিছু ইস্যুতে কিছু অগ্রগতি এবং মতৈক্য অর্জিত হয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া একটি বিবৃতিতেও একই কথা বলা হয়।
শি বলেন, চীনা পক্ষের সঙ্গে মি. ব্লিঙ্কেনের খোলামেলা এবং বিস্তুারিত আলোচনা হয়েছে এবং তিনি আশা করেন যে এ সফরের মধ্যে দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে’ অবদান রাখতে পারবেন।