শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মুক্তমনে ঘুরাফেরার সমালোচনা করে বলেছেন, সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়, এখানে ওপেন কালচার ছিল, ছেলেমেয়েরা যা খুশি, তা–ই করতে পারত। কেউ কিছু বলতে পারত না। কারণ, তাঁদের বয়স ১৮ বছর। কিন্তু আমি বলেছি, সাড়ে ১০টার মধ্যে হলে ঢুকতে হবে।’
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে আয়োজিত তথ্য অধিকার বিষয়ক এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমনটা জানান।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলমগীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন ও ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান।
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তারা (শিক্ষার্থী) এটার নাম দিয়েছে ‘তালেবানি কালচার’। তালেবানি কালচার নিয়ে আমি খুবই গৌরবান্বিত, এটা নিয়ে থাকতে চাই। আমি ওপেন কালচার চাই না।’
তিনি বলেন, ‘তাদের (শিক্ষার্থীদের) বাবা-মায়েরা সারা রাত ঘুরে বেড়ানোর জন্য পাঠাননি। বাবা–মায়েরা কিন্তু উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকেন, টেনশনে থাকেন; আমার মেয়ে কোথায় আছে, ছেলে কোথায় আছে। সে জন্য তাদের দায়িত্ব আমরা নিয়েছি।
‘আমরা তাদের গার্ডিয়ান, আমরা তাদের হেফাজতকারী। আমরা কিন্তু ওই জিনিসটা অ্যালাউ করব না, কোনোভাবেই করব না, যোগ করেন শাবি উপাচার্য।
ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপপরিচালক মো. আবদুল মান্নান সেমিনারে মূল আলোচকের বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ অনেকে।