সেচ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা নদী থেকে পানি প্রত্যাহারে ভারত সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরে এ বিষয়ে একটি কূটনৈতিক নোট (নোট ভার্বাল) পাঠিয়েছে।
গতকাল বোরবার (১৯ মার্চ) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ভারতকে চিঠি দেবে।’
নোট ভারবালে ঢাকার পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কিনা, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা হয়তো তাদের অনেক দিন আগের পরিকল্পনা। তবে এখনো তো বাস্তবে কিছু হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক বলেছিলেন যে যৌথ নদী কমিশন ভারতকে দেওয়ার জন্য একটি চিঠি ইতোমধ্যে প্রস্তুত করেছে।
আগামী ২২-২৪ মার্চ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ ২০২৩ ওয়াটার কনফারেন্সেও তিস্তা নদী নিয়ে সমস্যা উত্থাপিত হতে পারে বলে এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বলেছিলেন।
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির জন্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ। তবে, গত ১৩ মার্চ দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, দার্জিলিংয়ে ৩টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
৩টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের মধ্যে ২টির কারণে তিস্তার পানি প্রবাহ আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে ডিসেম্বর-এপ্রিল মাসে, যখন বাংলাদেশে সেচের জন্য পানির চাহিদা বেশি থাকে। এটি ঢাকার জন্য আরেকটি আশঙ্কার খবর।
তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের জন্য প্রায় ১ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ বিভাগ।