তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প ও ধারাবাহিক পরাঘাতে তিন দিনেরও বেশি সময় পরে আরও অনেক লোককে জীবিত খুঁজে পাওয়ার আশা ম্লান হতে শুরু করেছে, কারণ এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৭০০ এরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
ডিএইচএ নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, আন্তাকিয়ার পূর্বে দিয়ারবাকিরে উদ্ধারকর্মীরা ভোরে একটি ধসে পড়া ভবন থেকে আহত এক নারীকে উদ্ধার করলেও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তার পাশে থাকা তিনজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
তুরস্কে ১২ হাজার ৮৭৩ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ৬০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সিরিয়ার সীমান্তে তিন হাজার ১৬২ জন নিহত এবং পাঁচ হাজারেরও বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। আন্তাকিয়ার একটি ধসে পড়া ভবনের বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার রাতভর বাইরের আগুনের আশেপাশে জড়ো হয়ে ছিলেন, নিজেদের চারপাশে কম্বল শক্ত করে মুড়ে উষ্ণ থাকার চেষ্টা করছিলেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বৃহস্পতিবার ভূমিকম্পকবলিত গাজিয়ানটেপ, ওসমানিয়া ও কিলিস প্রদেশে যাওয়ার কথা ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া এবং মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেতে অক্ষমদের বেঁচে থাকার জানালা দ্রুত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা বলছেন যে আশা হয়তো খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে হবে।