তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। আজ রাতেই নির্ধারণ হতে যাচ্ছে কার হাতে যাবে দেশটির শাসনভার। প্রথম দফায় ভোটে ক্ষমতাসীন শাসক রিসেফ তাইয়েফ এরদোয়ান এগিয়ে ছিলেন তার প্রধান বিরোধী দলের নেতা কেমাল কিলিচদারওলুর থেকে। তবে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছে নির্বাচন।
তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৩০ জন তুরস্কের নাগরিক বিদেশি মিশন ও কাস্টমস গেটে ভোট দিয়েছেন।
৮ কোটির ও বেশি তুর্কি প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার ভোট কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার যোগ্যতা আছে, যার মধ্যে অনেকে ১৪ মে প্রথমবারের মতো ভোটার ছিলেন। বিকাল ৫টায় ভোট শেষ হওয়ার কথা।
তবে এই দুই নেতার ভাগ্যে কী আছে, তা এখন অনেকটাই সিনান ওগান ও তাকে সমর্থন দেওয়া জোট এটিএ অ্যালায়েন্সের হাতে।
প্রথম দফা ভোটের আগে সিনান ওগান তেমন পরিচিত মুখ ছিলেন না। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন এটিএ অ্যালায়েন্সের সমর্থনে। এই জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে ডানপন্থী নেতা উমিত ওজদাগের দল ভিক্টরি পার্টি।
চলতি দফায়ও নির্বাচনের আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় মূল্যস্ফীতি ও জীবন যাপনের ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি। ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানের ‘নতুন যুগের’ প্রতিশ্রুতি ভোটারদের কতটা প্রভাব ফেলছে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশ্লেষকরা।