সাবিনাদের জয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছেন সারাদেশের মানুষ। সেই উৎসবের আমেজ গড়ে দিয়েছেন যারা তারা সংবাদ সম্মেলনে পেছনের সারিতে দাঁড়িয়ে থাকবেন এটিকে অনেকটাই অপমান হিসেবে ভাবছেন নেটিজেনরা। কিছু ছবি কাল রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। সেখানে দেখা যায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ ও অধিনায়ক সাবিনা দাঁড়িয়ে আছেন পিছনের সারিতে আর সংবাদ সম্মেলনের সামনে অন্যরা।
এ নিয়েই শুরু হয় সমালোচনা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা সংবাদকর্মীদের অনেকে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটা ব্যাখ্যারও চেষ্টা করেছেন।
এসব ছবিতে যা দেখা গেছে, তেমন কিছু ঘটেইনি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে সাবিনা অনুরোধ করেছেন, ঘটনাটা যেন নেতিবাচক চোখে না দেখা হয়।
গতকাল নেপাল থেকে দেশে ফেরার পর সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে ছাদখোলা বাসে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে বরণ করে নেওয়া হয়। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে সাবিনা ও কোচের দাঁড়িয়ে থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।এসব ছবি দেখে বাফুফেকে অপেশাদার বলে সমালোচনায় মুখর হন দেশের ফুটবলপ্রেমী জনতা।
পরিস্থিতি যখন কিছুটা ঘোলাটে হতে শুরু করেছে তখনই সাবিনা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যায়, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পাশে বসে মাইক্রোফোনের সামনে কথা বলছেন সাবিনা।
অধিনায়ক সাবিনার বক্তব্য শেষ হলে এরপরই কোচ গোলাম রব্বানীর কাছে প্রশ্ন রাখেন সংবাদকর্মীরা। গোলাম রব্বানী তখন ভিড়ের মধ্যে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
সাবিনা তখন নিজেই বলেন, ‘স্যার, আপনি এখানে আসেন’। এরপর নিজের চেয়ার ছেড়ে পেছনে দাঁড়ান তিনি। গোলাম রব্বানী এসে সাবিনার চেয়ারে বসে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপরেই একপর্যায়ে অধিনায়ক ও কোচকে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
টিভি চ্যানেলের এই ফুটেজ শেয়ার করে সাবিনা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার বিনীত অনুরোধ, এটাকে কেউ নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন না। নেতিবাচক চোখে দেখে দয়া করে আমাদের জীবনের সেরা দিনটি নষ্ট করবেন না। আসুন সবাই ইতিবাচক হই এবং উপভোগ করি। শুধু বলতে চাই, আমরা আপনাদের ভালোবাসি।’
দেশীয় ফুটবলে প্রথমবারের মত এমন উল্লাসের সুযোগ করে দেওয়া সানজিদা-সাবিনারা কাঠমান্ডুতে সাফ নারী ফুটবলের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। এই অর্জনে সারাদেশেই আনন্দঘন মুহূর্ত তৈরি হয়েছে।