বাংলাদেশে কাজ করা বিশ্বের সব দেশের রাষ্ট্রদূত মিলে বললেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমরা চাই, বিএনপিসহ ছোট–বড় সব দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে শেষ দিন পর্যন্ত আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব।
বৃহস্পতিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটা জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আপনারা নির্বাচনে যাবেন না—এমন উসকানি কেউ যেন না দেয়। এটা আমেরিকার অ্যাম্বাসেডর হোক আর যেকোনো দেশের অ্যাম্বাসেডর হোক কিংবা সকল অ্যাম্বাসেডর মিলে বললেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না।
সভায় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচনে যাবে না। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। সংবিধানে স্পষ্ট লেখা আছে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, আজ বিএনপি মহড়া দিচ্ছে, লাঠির মধ্যে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে মিছিল ও সমাবেশ করছে। সব মিলিয়ে তারা সন্ত্রাসের দিকে যাচ্ছে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যেভাবে মোকাবিলা করেছি, ভবিষ্যতেও ঠিক একইভাবে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিএনপিকে সভা সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে। সরকারের সমালোচনা করুক। দেশে পত্রপত্রিকা আছে, টেলিভিশন আছে। কোথাও কোনো বাধা নেই। তারা সংসদেও কথা বলছে। তাদের তো কোনো সমস্যা নেই। তারপরও তারা কেন এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে?
এই পরিস্থিতি আমরা কোনোভাবেই হতে দেব না জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের জান-মাল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং দেশের উন্নয়নকে অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সক্ষমতা দিয়ে যা করা দরকার, তা–ই করবে।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য আতোয়ার রহমান খান, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলমগীর খান প্রমুখ।