প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের কল্যাণ করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। তিনি বলেন, মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করা, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার হ্রাস করাসহ প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করেছে।
শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বিএনপি শাসনামলের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি যখন জামায়াতকে নিয়ে সরকার গঠন করেছে, তারপর থেকে এ দেশে হ্ত্যা, গুম, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং, এমন কোনো অপকর্ম নাই যে তারা করেনি।
তিনি বলেন, তারা নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে, কিন্তু বাংলাদেশের ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর এই একটানা ২০২২ সাল পর্যন্ত এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই কিন্তু আজকে বাংলাদেশের উন্নতিটা হয়েছে। নইলে এত উন্নতি হতো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটা আমরা শুরু করি। আজকে নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা, জবাবদিহি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা কিন্তু আমাদের এই আন্দোলন, সংগ্রামের ফসল।
তিনি আরও বলেন, আর নির্বাচন, বেশি দূর যাওয়া লাগবে না। ২০০১ সালের নির্বাচন অথবা মাগুরার উপনির্বাচন অথবা মিরপুর বা ঢাকা-১০ এর উপ-নির্বাচনগুলোর কথা যদি কেউ স্মরণ করে, তাহলে বিএনপির আমলে নির্বাচনের নামে কী হত, সেটা ওইটুকুই যথেষ্ট যদি দেখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছিল, তারাই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছিল।
তিনি বলেন, নির্বাচন বলে তখন কিছু ছিল না। ওই ক্যান্টনমেন্টে বসে সামরিক জান্তার পকেট থেকে দল তৈরি করে সেই দলকে জিতিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে টু থার্ড মেজরিটি নিয়ে পার্লামেন্টে যেন বৈধ করা যায়, সেই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কারচুপি, ভোট ডাকাতি, ভোট চুরির প্রক্রিয়াটা শুরু।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র রয়েছে বলেই গত এক যুগে বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের সময়ে সব দলই কিন্তু তাদের দল করার একটা সুযোগ পাচ্ছে, সেই ব্যবস্থটা আমরা দিয়েছি।