বিএনপি আবারও সংলাপে বসেছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। রবিবার বিকালে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ করেছে দলটি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ সংলাপের কারণ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রথম দফা সংলাপে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছিলাম যে, একটা যুগপৎ আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলব। দ্বিতীয় দফা সংলাপে আমরা কোন কোন দাবিতে বা কোন কোন ইস্যুতে আন্দোলনটা করব সেই বিষয়ে আলোচনা করে ঐক্যমতে এসেছি। দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হবে।
এর আগে প্রথম দফার সংলাপে ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করে বিএনপি। সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। বিএনপি সেই প্রস্তাবগুলোসহ দলের কর্মপরিকল্পনা যুক্ত করে একটা খসড়া তৈরি করে।
এ খসড়ায় আগামী দিনের আন্দোলন ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে করণীয় রয়েছে।
দ্বিতীয় দফা সংলাপে রাজনৈতিক দলের কাছে এ খসড়া তুলে দেওয়া হবে। এরপর তাদের নতুন কোনো প্রস্তাব থাকলে তা যুক্ত করা হতে পারে। সংলাপ শেষে সবার মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা হবে চূড়ান্ত রূপরেখা। যা জাতির সামনে তুলে ধরবে দলটি।
রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
অন্য সদস্যরা হলেন- কল্যান পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল কবির পিন্টু, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্যা, মাহবুবুর রহমান শামীম, জামাল হোসেন, আবু হানিফ, আবু ইউসুফ।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান।
সংলাপের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, বেশ কয়েকটি বিষয়ে ঐক্যমতের মধ্যে রয়েছে- আমরা এই সরকারের পদত্যাগ চাই। সংসদ বিলুপ্ত করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে আমরা গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া, যাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে, তিনিসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি এবং যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে সেই মামলা প্রত্যাহারের বিষয়েও একমত হয়েছি।