ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পুনরায় চালু করতে আদালতের মাধ্যমে গঠিত বোর্ডের কাছে আবেদন করেছেন কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। আবেদনে তিনি নিজেকে এবং তার মা ও বোনের স্বামীকে পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চে এ আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
তিনি বলেন, এ ছাড়া হাইকোর্টে আরেকটি আবেদন দায়ের করা হয়েছে। এ আবেদনে মো. রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে যেন অযথা মামলা দিয়ে হয়রানি না করা হয়, তার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ই-ভ্যালি পুনরায় চালু করতে পারলে পাওনাদারদের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলেও আবেদনকারী তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন। আগামী রবিবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এছাড়া আদালত কেন ইভ্যালিকে অবসায়ন করা হবে না তা জানতে একটি নোটিশ ইস্যু করেন। এরপর ওই বছর ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে (চেয়ারম্যান) পাঁচ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করেন হাইকোর্ট।
গত ১৯ এপ্রিল ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিট মামলায় পক্ষভুক্ত হতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের আবেদন গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আদালত আদেশে বলেন, এখন থেকে এ রিট মামলায় শামীমা নাসরিন ১৫ নম্বর বিবাদী হিসেবে গণ্য হবেন। এরপর গত ২২ এপ্রিল শামীমা নাসরিন জামিনে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এছাড়া গত ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার ৯ মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দেন আদালত। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি রাসেল।