নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর সহচর বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস মারা গেছেন। বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টা ২২ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টা ২২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে আব্দুল কুদ্দুস রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার ব্যক্তিগত সহকারী ইব্রাহীম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শ্বাসকষ্টজনিত কারণে সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসকে শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পর অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউতে) নেয়া হয়। শনিবার রাত থেকে সেখানেই রাখা হয়েছিল তাকে। সেখানেই আজ (বুধবার) সকালে তার মৃত্যু হয়।
চলতি বছর পরিবারসহ দ্বিতীয়বারের মতো পবিত্র হজ পালন করে সম্প্রতি দেশে ফেরেন তিনি। আগস্ট মাসজুড়ে প্রতিদিনই একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শারীরিকভাবে ক্লান্ত ছিলেন তিনি। তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তিনি নিয়মিত থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
আবদুল কুদ্দুস পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সপ্তম সংসদে তিনি মৎস্য ও পশু সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি রাজশাহী কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। পরে বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিও হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী আবদুল কুদ্দুস মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভারতে ট্রেনিং নিয়ে মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার ও সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন।