আগামী নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দেবে বলে সুস্পষ্টভাবে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা (বিএনপি) উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, কারণ তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাবে না। অন্যথায়, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
শনিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সব সময়ই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলতে চায় তারা কারা? আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ নির্বিঘ্নে নির্বাচনে তাদের ভোট দেবে। ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন এমন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি, এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, ‘তারা জানত সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা খুন, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে অভ্যস্ত। এটাই বাস্তবতা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে।
শেখ হাসিনা আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে এনেছে, যা সামরিক শাসন ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে লাইনচ্যুত হয়েছিল।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ব্যবহৃত হয়।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে দ্রুত নির্বাচনী ফলাফল পাওয়া যায় এবং মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারে।
তিনি অবশ্য বলেন, কিছু লোক ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে আছে এটা সত্য।