পদ্মা সেতু দেখার স্বপ্ন নিয়ে ভ্রমণে এসেছিলেন বৃদ্ধ। বাসের ধাক্কায় ঢলে পড়লেন মৃত্যুর মুখে। সেতুর জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা টোল প্লাজার সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে এই বৃদ্ধ নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
শনিবার(২ জুলাই) বেলা পৌনে তিনটার দিকে টোল প্লাজার কাছে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল হক মোল্লা (৬০)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের চাগাইয়া গ্রামের তিতা মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের প্রায় ৮০ জন যাত্রী সাতটি মাইক্রোবাস নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে আসেন। সকালে সেতু পার হয়ে তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যান। পরে ভাঙ্গা থেকে ফেরার পথে পদ্মা সেতুর জাজিরা অংশের সংযোগ সড়কে পৌঁছালে কুয়াকাটা থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাস উল্টে দুমড়েমুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই আবদুল হক মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শিবচর হাইওয়ে পুলিশ, পদ্মা দক্ষিণ থানা–পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নাওডোবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানান পদ্মা দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আবদুল হক মোল্লা পদ্মা সেতু দেখতে জাজিরা প্রান্তে এসেছিলেন। ফেরার পথে একটি যাত্রীবাহী বাস মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই আবদুল হকের মৃত্যু হয়।