রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও চরমে পৌঁছেছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকায়। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রিসে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
বুধবার বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরই ক্ষুব্ধ জনতা আরও অস্থিরতা ছড়াতে শুরু করে। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তারা মিলিটারি পুলিশের বাঁধা টপকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন দখল করেন।
বিক্ষোভকারীদের চলমান সহিংসতায় শ্রীলংকার পরিস্থিতি অনেকটাই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করলেও পিছপা হননি বিক্ষোভকারীরা।
এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে দেশটির সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে। টিভিতে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি বিক্রমাসিংহে বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যা করার প্রয়োজন তা করতে পুলিশ ও সেনবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে বিক্রমাসিংহে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেন, আমি সেনাবাহিনীর কমান্ডার এবং পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যা করার প্রয়োজন তাই করতে।
বিক্রমসিংহে বলেন, যারা আমার অফিসে হামলা চালিয়েছে এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে যারা আমাকে বাঁধা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
তিনি বলেন, আমরা সংবিধানকে ছিন্ন করতে পারিনা।আমরা ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতায় আসতে দিতে পারি না।গণতন্ত্রের ওপর ফ্যাসিস্টদের এ হুমকি আমাদের বন্ধ করতে হবে।
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে হুমকি দিয়েছেন, যারা এমন বিশৃঙ্খলা করছে তাদেরকে অবশ্যই জেলে নেওয়া হবে।