পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, যা কার্যকর হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
বিদ্যুৎ বিভাগ প্রশাসনিক আদেশ ও পৃথক দুটি গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই দাম বৃদ্ধি করেছে।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, ভোক্তাদের বিভিন্ন স্তরে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়। নিম্ন স্তরের গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট (প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা) তিন দশমিক ৯৪ টাকা থেকে গড়ে পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে চার দশমিক ১৪ টাকা করা হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে ইউনিট প্রতি ছয় দশমিক ২০ টাকা থেকে আট দশমিক ০৬ শতাংশ বাড়িয়ে ছয় দশমিক ৭০ টাকা করা হয়েছে।
পাইকারি দাম বাড়ানোর অর্থ হলো যে বিতরণ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে ইউনিট প্রতি শূন্য দশমিক ৫০ টাকা হারে বিদ্যুৎ কিনবে এবং খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য বর্ধিত হারে বিদ্যুৎ ক্রয় করতে হবে।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি করে সরকার। সে সময় সব গ্রাহকের গড় দাম ৭ দশমিক ১৩ টাকা থেকে বেড়ে শূন্য দশমিক ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে সাত দশমিক ৪৯ টাকা হয়।
গত ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা করে।
সরকার সম্প্রতি বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) আইন সংশোধন করে বিদ্যুৎ বিভাগকে যেকোনো সময় প্রশাসনিক ক্ষমতা দিয়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম জ্বালানি উত্তোলনের ক্ষমতা দিয়েছে।
ওই সংশোধিত আইন প্রয়োগ করে জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য গত ৩০ জানুয়ারি নতুন গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এদিকে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনেই এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা সম্প্রতি বাংলাদেশকে চার দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।