কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয় প্রতি ৩ মাস পর। এবার তিনমাস ১ দিন পর খুলে মিলেছে ১৫ বস্তার বেশি দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ রৌপ্য-স্বর্ণালঙ্কার। একইসাথে নানা আকুতি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
শনিবার(১অক্টোবর) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে মসজিদের সব দানবাক্স খোলা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট এ টি এম ফরহাদ, সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যুথী, মোছা. নাবিলা ফেরদৌস টাকা গণনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দানবাক্সের টাকা গণনার কাজে রূপালী ব্যাংকের এজিএম ও অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
এবারের খোলা দানবাক্সে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণ-রৌপ্যের সঙ্গে পাওয়া অসংখ্য চিঠিতে উঠে আসে মানুষের আকুতির কথা।
এক বেকার যুবক চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যার প্রবণতার হাত থেকে বাঁচতে চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমাকে বাঁচাও আত্মহত্যার হাত থেকে। আমি বাঁচতে চাই, আর নিতে পারছি না বেকারত্বের বোঝা। সবার খোঁচা দেওয়া কথা। একটা চাকরি হলে হয়তো বেঁচে যেতাম।’
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে দান করে দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান মানুষেরা। এতে আটটি লোহার দানবাক্স রয়েছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে, জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি সিন্দুক খোলা হয়। ১৫ বস্তারও বেশি দেশি-বিদেশি মুদ্রা এবং স্বর্ণ ও রৌপ্যলংকার মিলেছে।
দানবাক্স খোলার বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, এসব টাকা দিয়ে এখানে আন্তর্জাতিক মানের বহুতল কমপ্লেক্স তৈরির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।