আব্দুল্লাহ আল আলীম, দেবিদ্বার প্রতিনিধি: বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে প্রথম সারিতে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে তলীয়ে যেতে পারে দেশের নিম্নভূমি। এ জন্য সরকার ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেই জলবায়ু ঝুঁকি বিপর্যয় নিয়ে বিশ্বজুড়ে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন এক বাংলাদেশি যুবক। নাম সাইফুল ইসলাম শান্ত।
তিনি পায়ে হেঁটে শুক্রবার (২২ র্মাচ) থেকে বিশ্ব ভ্রমণে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ র্মাচ) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদকিদরে সাথে মতবিনিময়কালে তিনি ওই তথ্য জানান।
শুক্রবার (২২ র্মাচ) সকাল ১০ টায় জাতীয় সংসদ ভবন থেকে তিনি পায়ে হেঁটে যশোর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের মাধ্যমে শুরু করবেন বিশ্ব ভ্রমন। ১৯২ টি দেশ পাড়ি দিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ শেষ হবে অ্যাল্টানর্টিকা মহাদেশে পৌঁছার পর। এতে তার সময় লাগতে পারে ১০ থেকে ১৫ বছর।
এ ভ্রমনে উদ্দশ্যে সর্ম্পকে শান্ত জানান, ‘জলবায়ু বির্পযয় প্রতিরোধে বিশ্ব জুড়ে সচেতনতার র্বাতা পৗেঁছে দেয়াই তার এ বিশ্ব ভ্রমণের প্রধান লক্ষ্য।’
বাংলাদেশী হাইকার সাইফুল ইসলাম শান্ত কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার বড় আলমপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র।
সাইফুল ইসলাম শান্ত ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৯ র্মাচ ২০২২ তারিখ র্পযন্ত ৭৫ দিনে প্রথমবার তিনি পায়ে হেঁটে বাংলাদশের ৬৪ জেলা (৩০০০ কিলোমিটার) ভ্রমণ করেছেন।
২য় বার তিনি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৭ তারিখে ঢাকা থেকে হেটে যাত্রা শুরু করে বেনাপোল সীমান্ত ও কোলকাতা হয়ে র্দাজিলিংয়ের ভারতের পশ্চিম বাংলার সর্ব্বোচ্চ উঁচু স্থান সান্দাকফু পর্যন্ত অভিযান করেন। এই ভ্রমণে তিনি ৬৪ দিনে ১৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন।
এ ভ্রমণে জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে মানবজাতি এবং বাংলাদশে যেহেতু অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে , তাই আমাদের দেশের প্রাকৃতিক বির্পযয় এবং সমগোত্রীয় দেশগুলোর ঝুঁকি মোকাবলোয় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে শান্ত ‘গাছ রক্ষা করুন পরিবেশ বাঁচান’ এ শ্লোগানকে তার বিশ্ব ভ্রমণের প্রতপিাদ্য বিষয় নির্বাচিত করেছেন।
ভ্রমনকালে তিনি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কমিউনিটি ও স্কুল-কলেজে পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো এবং গাছ সংরক্ষণের বার্তা পৌছে দিবেন।
সাইফুল ইসলাম শান্ত’র বিশ্ব ভ্রমণের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও মনিটরিংয়ে থাকবে বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইর্টাস এসোসিয়েশন এবং হাইকার সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
প্রাথমিক ভাবে দেশের বিভিন্ন র্স্পোটস সংগঠন এবং এথলেটবৃন্দ তার হাঁটার দূরত্ব কিলোমিটার হিসেবে তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে।