মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাদের প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠকে বসবেন। দুই বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পরে থেকেই এই দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই এই দুই নেতা ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈঠকে বসবেন।
ইন্দোনেশিয়া আসার আগে কম্বোডিয়ার নম পেনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন বাইডেন।
সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাদের অল্প কিছু ভুল বোঝাবুঝি আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু খুঁজে বের করতে পেরেছি যে লাল রেখাগুলো কোথায় এবং … আগামী দুই বছরে আমাদের প্রত্যেকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো কী।’
যদিও বাইডেনের মেয়াদকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে বাইডেন বলেছিলেন যে তিনি ইউক্রেনে প্রায় ৯মাস ধরে চলা আগ্রাসনের মধ্যে তাইওয়ানের স্ব-শাসিত দ্বীপ, বাণিজ্য চর্চা এবং মস্কোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কের বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা করেছেন।
চীনা কর্মকর্তারা মূলত জনসমক্ষে রাশিয়ার ইউক্রেনের ওপর চালানো আগ্রাসনের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকেন। তবে বেইজিং রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের মতো সরাসরি সমর্থন এড়িয়ে গেছে।
তাইওয়ান সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত ইস্যু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বাইডেন একাধিকবার বলেছেন যে তাইওয়ানের ওপর বেইজিং-এর চালানো আক্রমণ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপটিকে রক্ষা করবে। চীন এ বিষয়টিকে কখনোই ভালো চোখে দেখেনি।
উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় যখন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, ডি-ক্যালিফ গত আগস্ট মাসে তাইওয়ান সফর করেন। চীন এ বিষয়টিকে চূড়ান্ত সীমা লঙ্ঘণ হিসেবেই দেখেছে। চীন সেসময় সামরিক মহড়া এবং নিকটবর্তী সমুদ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।