পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। করোনাবিধি লঙ্ঘনজনিত ‘পার্টি গেট’ কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হওয়া তদন্তের প্রতিবেদনের জেরে তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পান বরিস জনসন। তার মতে, ওই প্রতিবেদন হেঁয়ালি, অসত্য ও পক্ষপাতে পরিপূর্ণ।
এ নিয়ে এক বিবৃতিতে বরিস বলেন, তারা এখনো এক টুকরো প্রমাণও তৈরি করতে পারেনি যে, আমি জেনেশুনে বা বেপরোয়াভাবে সেই বিধি ভঙ্গ করেছি।
শুক্রবার (০৯ জুন) পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে বরিস জনসন বলেন, এ দিন থেকেই তা কার্যকর হবে। তার এই পদত্যাগ তার উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পদত্যাগের সিদ্ধান্তের বিষয়টি পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, পার্লামেন্ট ত্যাগ করা খুবই দুঃখজনক, অন্তত আপাতত। তবে সর্বোপরি আমি আতঙ্কিত যে আমাকে অগণতান্ত্রিকভাবে একটি তীব্র পক্ষপাতমূলক কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জোর করে বহিষ্কার করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সালে করোনা মহামারি চলাকালীন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন। সে সময় করোনার বিধিনিষেধ না মেনে তার কার্যালয়ে একাধিক পানাহারের আয়োজন করেন তিনি। এ ঘটনাকেই ‘পার্টি গেট’ কেলেঙ্কারি বলা হয়। এসব অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন।