পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে রাস্তার গ্যাস লাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একই পরিবারের শিশুসহ তিনজন দগ্ধ হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- আব্দুর রহিম (৫০) তার মেয়ে মিম আক্তার (২১) ও তার নাতি আলিফ (২)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দগ্ধরা ধূপখোলা মাছবাজারের একটি বাড়িতে থাকেন। বাড়ির একপাশে মুদি দোকান। ওই দোকানে বসাছিলেন রহিম, পাশেই ছিলেন মেয়ে ও নাতি। দোকানটির সামনের রাস্তায় তিতাস গ্যাস লাইনের মেরামত কাজ চলছিল। হঠাৎ সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় তাদের শরীরে।
দগ্ধ রহিমের ছেলে মো. আল-আমিন জানান, কয়েক দিন ধরেই তিতাসের লাইন মেরামতের কাজ চলছিল। তবে সেখানে কোনো ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হয়নি। ঝুঁকি নিয়ে কাজ চলছিল। সকালে সেখান থেকেই বিস্ফোরণ হয়।
পরে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুসহ তিনজন দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে এসেছে। হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
তবে এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও ৬ জন এসেছেন বলে জানা যায়। তারা হলেন -মো. সোহেল (৪৮), মেহেদী হাসান (২২), আলী হোসেন (৫২), রাশেদ মিয়া (৩২), শাহারা বেগম (৬৫) ও মিজানুর রহমান (৩২)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, গেন্ডারিয়ার ঘটনায় ছয়জন আমাদের এখানে এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।