রাজনৈতিক অঙ্গনে ২৮ অক্টোবর নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা৷ এই দিনটিতে বিএনপির ঘোষণা অনুযায়ী মহাসমাবেশের জন্য নয়াপল্টনের বিকল্প খোঁজাসহ সাত তথ্য জানতে চিঠি দিয়েছিল পুলিশ। এই চিঠির জবাব দিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ তারা নয়াপল্টনেই করতে চায়। বিকল্প কোনো স্থানে তাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।
বিএনপি চিঠিতে জানিয়েছে, ওই দিনের সমাবেশে এক থেকে সোয়া লাখ লোক হতে পারে।
বিএনপির পক্ষে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ চিঠি দিয়েছেন।
আগামী ২৮ অক্টোবর সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য পুলিশকে চিঠি দিয়েছিল বিএনপি। তাদের চিঠির জবাবে গতকাল বুধবার বিকল্প দুটি স্থানের নামসহ সাত তথ্য চায় পুলিশ।
সেই চিঠিতে সমাবেশে লোকসমাগমের সংখ্যা, সময়, বিস্তৃতি, কোন কোন স্থানে মাইক লাগানো হবে, অন্য দলের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি না-সহ সাতটি তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
বিএনপি বৃহস্পতিবার পুলিশকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের সমাবেশ ওই দিন বেলা দুইটায় শুরু হবে এবং মাগরিবের আজানের আগে শেষ হবে। সমাবেশে এক থেকে সোয়া লাখ লোক হতে পারে বলেও তারা জানায়।
সমাবেশের বিস্তৃতির প্রসঙ্গে বিএনপি বলেছে, সমাবেশটি পশ্চিমে বিজয়নগর মোড় ও পূর্বে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। বিজয়নগর মোড় ও ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত কিছুদূর অন্তর অন্তর মাইক লাগানো হবে। আগামী শনিবারের সমাবেশে বিএনপির নেতারা ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন না। সমাবেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দলের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকেরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানায় বিএনপি। এসব স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা হবে ৫০০।
বিএনপির চিঠিতে বলা হয়, ‘২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়াপল্টনের বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনেই আয়োজনের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। অন্য কোনো ভেন্যুতে যাওয়া সম্ভব হবে না।’
একই ধরনের একটি চিঠি আওয়ামী লীগকেও দিয়েছিলো পুলিশ। সেখানেও দলটির পছন্দের স্থান বায়তুল মোকাররম মসজিদের বিকল্প দুটি স্থানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা কোনো বিকল্প স্থানে যাওয়ার কথা ভাবছি না। আমাদের পছন্দের স্থানেই আমরা সমাবেশ করতে চাই।’