রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)কেন্দ্রীয় কার্যালযয়ে পুলিশি অভিযানের পর চার দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার দুপুরে আবার খুলে দেয়া হয়।
দুপুর ১টার দিকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপি নেতা বিএনপি কার্যালয়ে যান এবং দুপুর সোয়া ১টার দিকে কয়েকজন আইনজীবী ও সাংবাদিক নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
পরে তারা পুরো কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমরান সালেহ বলেন, পুলিশ অফিসের আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। তারা অফিসের কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ অফিসে যে ক্ষতি করেছে, আমরা তার একটি তালিকা তৈরি করব।’
ভাঙচুরের কারণে কার্যালয়ের সর্বত্র কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় আইনজীবী, সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাবধানে অফিসে প্রবেশ করতে বলেন তিনি।
বুধবার, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
শুক্রবার ভোররাতে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
শুক্রবার ঢাকার একটি আদালত এই মামলায় মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান।
পরে বুধবার সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত এ্যানি ও সালামসহ বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সকাল থেকে বিএনপিকে কার্যালয় খোলার আশ্বাস দিলেও আজ (রবিবার) সকাল থেকে কাউকে ওই এলাকায় ঢুকতে দেয়নি।