একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অন্যের জমিতে কোনো রকমে কাটে সহিরন বেওয়া নামে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীর জীবন। ভিক্ষা করেই চলে সংসার। এই ভিক্ষুকের বয়স্ক ভাতার টাকাই জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম ফারুক। ভুক্তভোগী নারী এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত শুরু করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। তবে অভিযোগের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ফারুক।
সহিরন বেওয়ার বয়স ৯৩ বছর। তিনি ওই ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের মৃত মুনিরউদ্দীনের স্ত্রী। ভিক্ষা করে জীবন চলে তার। স্বামী মারা গেছে বহু আগে। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অন্যের জমিতে তার বসবাস। সংসারের প্রয়োজনে ভিক্ষা করেন সহিরন। তার বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে।
২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত ব্যাংকের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতা পেয়েছেন সহিরন। পরে মোবাইলে ভাতা দেওয়া শুরু হলে সহিরনের মোবাইল নম্বরের জায়গায় ইউপি সদস্য ফারুকের ছেলে শাকিলের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। তারপর থেকে সহিরন ভাতার টাকা পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার ভাতার কার্ডটি নষ্ট হয়ে গেছে।
চলতি মাসে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে সহিরন জানতে পারেন তার ভাতার কার্ড বন্ধ হয়নি বরং টাকা চলে যাচ্ছে ইউপি সদস্য ফারুকের ছেলে শাকিলের মোবাইল নম্বরে।
এমন বৃদ্ধ অসহায় নারীর বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ করায় ইউপি সদস্য ফারুকের শাস্তির দাবি করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের ভাষ্য, ইউপি সদস্য ফারুক অনেকের কাছ থেকেই টাকা নিয়ে ভাতা কার্ড করে দেননি।