পরপর দুই ম্যাচে দুই লজ্জার ইতিহাস। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক হিসেবে উদ্বোধনী মাচে হারের লজ্জা। পরের ম্যাচেই বাজলো বিদায়ঘন্টা। বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয়ার ঘটনা এটি দ্বিতীয়। এর আগে কেবল ২০১০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাই স্বাগতিক হয়ে গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারেনি।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বর্তমান আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগালের কাছে ৩-১ গোলের হারে ছিটকে গিয়েছে স্বাগতিক কাতার। ম্যাচের চার গোলের মাঝে তিনটিই এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে।
স্বাগতিক কাতারকে প্রথম ধাক্কা দেন বুলায়ে দিয়া। অবশ্য এখানে কাতার রক্ষণের কৃতিত্বই বেশি। সহজ বল ক্লিয়ার করতে না পারায় অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়ে যান বুলায়ে দিয়া। সহজ ফিনিশে এগিয়ে দেন সেনেগালকে (১-০))।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দিয়াদৌ এর গোলে দ্বিতীবারের মতো লিড নেয় সেনেগাল। সবাই যখন কাতারের আরেকটি একপেশে হারের অপেক্ষায় তখনই ৭৪ মিনিটে গোল শোধ করেন কাতারের মোহাম্মদ মুনতারি (২-১)। এরপরেই ম্যাচে সমতা ফেরার চেষ্টায় ক্রমাগত আক্রমণ শাণাতে থাকে স্বাগতিকরা।
তবে স্বাগতিকদের স্বপ্নভঙ্গ করেন তরুণ সেনেগালিজ স্ট্রাইকার দিয়েং। ফরাসি ক্লাব মার্সেই এর এই ফরোয়ার্ডের ৮৪ মিনিটের গোলে নিশ্চিত হয় কাতারের বিদায়।
গ্রুপের শেষ নিয়মরক্ষার ম্যাচে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে কাতার। আর এই জয়ে নকআউটে যাবার ক্ষেত্রে কিছুটা লাইফলাইন পেলো সেনেগাল। গ্রুপের অন্য দুই দল নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর রাত দশটায় মাঠে নামছে।