ইতিহাসে এই প্রথম মোংলা বন্দর জেটিতে সবচেয়ে বেশি গভীরতার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়েছে। সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে চায়না থেকে আসা এমভি এমসিসি টোকিও নামে এই জাহাজটি বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে।
জাহাজটিতে সাত হাজার ২৪১ মেট্টিক টন ওজনের বিভিন্ন পণ্য বোঝাই ২৮৯টি কন্টেইনার রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিদেশি এ জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ওসান ট্রেড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ জাহিদ হোসেন জানান, এমসিসি টোকিও নাম আট মিটার গভীরতা সম্পর্ণ বিদেশি এই জাহাজটি মোংলা বন্দররের জেটিতে ভিড়েছে। ১৯৮৫ সালের পর এটিই জেটিতে ভিড়া অধিক গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনারবাহী জাহাজের নতুন রেকর্ড। সাংহাই বন্দর থেকে কন্টেইনার বোঝাই এ জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর তাইওয়ন ও মালয়েশিয়া হয়ে সোমবার দুপুরে মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়ে। ১৮৬ মিটার লম্বা এ জাহাজটির গভীরতা আট ফুট।
সোমবার বন্দর জেটিতে ভিড়া এই জাহাজটি বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ। আর এটা বন্দরের জন্য বিশাল অর্জন বলে জানান তিনি।
সৈয়দ জাহিদ হোসেন জানান, ১৯৮৫ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজ আগমন ও কন্টেইনার পণ্য বোঝাই-খালাস শুরু হয়। কিন্ত ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজের আগে কোনদিন বন্দরের নিজস্ব জেটিতে ভিড়েনি। আর আগে যা এসেছে তার সবই ছিল সাত মিটার গভীরতা সম্পন্ন কন্টেইনার জাহাজ। বন্দর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ড্রাফটের জাহাজই হলো এমভি এমসিসি টোকিও। এ জাহাজটিতে আসা আমদানি পণ্য বোঝাই এ কন্টেইনার খালাস শেষে এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি পণ্য বোঝাই কন্টেইনার নিয়ে বুধবার আবারো চায়নার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
শিপিং এজেন্ট ওসান ট্রেড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, মূলত বন্দর চ্যানেলের আউটারবারের ড্রেজিং সম্পন্ন ও ইনারবারে ড্রেজিং চলার কারণেই আট মিটার গভীরতার এ জাহাজটি সরাসরি বন্দর জেটিতে আসতে পেরেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার দুপুরে এম ভি এমসিসি টোকিও বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে ভিড়ে বন্দরের সক্ষমতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এটা অধিক গভীরতার জাহাজ যা জেটিতে ভিড়ে নতুন ইতিহাসের রেকর্ড করেছে। আর এটি মুলত সম্ভব হয়েছে সম্প্রতি আউটারবার ড্রেজিং সম্পন্ন করতে পারায় এবং ইনারবার ড্রেজিং চলমান রাখার কারণে। তাই এখন থেকে এ বন্দরে বড় বড় অধিক গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ অনায়াসে আসা ও যাওয়া করতে পারবে। এখানে সেই ধরনের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিদ্যমান সুযোগ সুবিধার কারণে দেশের বড় বড় মেগা প্রকল্পের মালামাল এ বন্দর দিয়ে আমদানি ও নতুন নতুন বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানিও বেড়ে গেছে।