প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা টেকানোর দেনদরবার করতে ভারতে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এই দেনদরবার করতে গিয়ে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব কতটুকু বিক্রি করছেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বুধবার(৭ সেপ্টেম্বর) প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের নেতৃবৃন্দসহ তিনি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, দক্ষিণের আহবায়ক রুমা আক্তার ও সদস্য সচিব নাসিমা আক্তার কেয়া প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণ চেয়ে আছে, প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়ে কী করছেন, কতটুকু স্বার্বভৌমত্ব বিক্রি করে নিজের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। আমরা এমন একটি সময়ে এখানে এসেছি যখন চারিদিকে অন্ধকার। কারও কোনো কথা বলার অধিকার নেই। দেশে যে অন্যায়গুলো হচ্ছে, সেগুলাের প্রতিবাদ যারা করছে তাদের ওপর নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।
সভা সমাবেশ করা স্বার্বজনীন গণতান্ত্রিক অধিকার জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু সমাবেশ যারা করছে তাদেরকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হচ্ছে। আপনারা জানেন, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে আমাদের যে কর্মসূচি চলছে, সেগুলোতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে প্রতিমুহূর্তে। তাদের আক্রমণে কেউ কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করছেন, কেউ চোখ হারাচ্ছেন। তিনজনের জীবনও চলে গেছে।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রায়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম প্রতিমূহুর্তে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গতকালও ডিমের দাম আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিরোধীদল হিসেবে আমরা যখন প্রতিবাদ করছি, তখনি সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের ওপর অত্যাচার করছে। আজকে দেশের মানুষকে ক্ষুধায় রেখে, অনাহারে রেখে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলে রেখে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেছেন।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, আপনি প্রধানমন্ত্রী ওখানে (ভারত)গিয়ে তো তিস্তা চুক্তি করতে পারেননি। এখনও আমাদের যে ন্যায্য পাওনা, সেগুলোর একটিও আদায় করতে পারেননি। আজকে জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন, অথচ আমাদের ন্যায্য হিস্যা একবারও আদায় করতে পারেননি।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য– বিএনপি নিজেরাই দেশকে অস্থিতিশীল করতে সারাদেশে হামলা করছে- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটা যুগে যুগে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসকরা করে আসছেন। গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর তারা বুলডোজার, স্টিম রোলার চালিয়ে তারাই আবার মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেন।
এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের অস্ত্র এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, এটা তো নির্বাচিত সরকার নয়। তাদের গণভিত্তি নেই বলেই তাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত দুর্বল এবং নতজানু। দেশের এমন পরিস্থিতিতে একটা যে শক্ত প্রতিবাদের ভাষা সেটাও সরকার দিতে পারছে না। কারণ, একদিকে তাদের গণভিত্তি নেই, অন্যদিকে অন্যান্য দেশের সমর্থনে তাদের টিকে থাকতে হচ্ছে। এই কারণে তাদের নতজানু হয়ে থাকতে হচ্ছে।