প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ।
রবিবার (২ জুলাই) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উদ্ভূত বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের বিষয়গুলো তাদের আলোচনায় উঠে আসে। তারা উভয়ই সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংকট উত্তরণে জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বৈঠকে এসডিজি, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব এবং মহামারীর ক্ষতিকর প্রভাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এ সময়, বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার সরকার আন্তর্জাতিক খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে যথাসময়ে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। সরকার সংকট নিরসনে সব পতিত জমি চাষের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বাড়ির ছাদে খাদ্য ও সবজির চাষের ওপরও গুরত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, তার সরকার কৃষি খাতে গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। ইতোমধ্যে লবণাক্ত ও বন্যা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে এবং সেগুলো আরও উন্নত করতে কাজ চলছে।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠেছে। এটি সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আমিনা জে মোহাম্মদ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ৫২টি দেশ এখন সংকটের দ্বারপ্রান্তে। আমাদের সম্মিলিতভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত।