অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থ উপার্জনের অভিযোগ উঠেছে ঢাকার রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ প্রেক্ষিতে তার সম্পদ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছে উচ্চ আদালত। আবদেনকারীকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে অভিযোগ দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
বুধবার(১০ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালত বলেছে, দুদক এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে তখন হাইকোর্ট বিষয়টি দেখবে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ওসি মনিরুলের বিপুল সম্পদ ও জমি দখল নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
এতে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনার আরজির পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্তি দখল, অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলা প্রশ্নে রুল চান আবেদনকারী। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি শুনানিতে আসে।
এ শুনানিতে আবেদনকারী আইনজীবী পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উল্লেখ করে জানান, ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ থানার ওসির এত সম্পদ কোথা থেকে আসে। যে স্কেলে তিনি বেতন-ভাতা পান তাতে এত সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তার বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগও রয়েছে। কেরাণীগঞ্জ, বসিলায় সম্পদের খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টিরও সুরাহা হওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে তিনি (রিটকারী আইনজীবী) দুদকের কাছে কোনো অভিযোগ দিয়েছেন কি না আদালত তা জানতে চান।আইনজীবী এ সময় হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।
আদালত এ বিষয়ে দুদক আইনজীবীর কাছে জানতে চান, প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর দুদক এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি না। জবাবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদককে বিষয়টি জানিয়ে তাদের নজরে আনা হয়েছে।
হাইকোর্ট একপর্যায়ে রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার মনোভাবের সঙ্গে আমরা শতভাগ একমত। কিন্তু আগে আইনি পদ্ধতিতে যেতে হবে। দুদকে আবেদন করুন। যদি দুদক ব্যবস্থা না নেয় তখন বিষয়টি আমরা দেখব। এ প্রেক্ষিতে ২১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেয় হাইকোর্ট।
ওসি মনিরুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব শফিক।
এর আগে গত ৫ আগস্ট দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওসি মনিরুল ঢাকার বছিলায় ৮তলা বাড়ি করেছেন। তার নামে কেরাণীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে চারটি প্লট রয়েছে। এ ছাড়া এই ওসির বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ রয়েছে।