পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা এখনও চলছে। ফল ঘোষণার মধ্যেই বিজয়ের ভাষণ দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ। ভাষণে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়েছেন।
নওয়াজ শরিফ তার ভাষণে বলেছেন, তার দল সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। তবে তা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়।
তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ম্যান্ডেটকে সম্মান করেন, যাদের মধ্যে অনেকেই অযোগ্য ও কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর অনুগত। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তার সঙ্গে বসারও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সরকার গঠনের জন্য সব দলকে একত্রিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিক ফল অনুসারে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত অর্ধেকের বেশি আসন জিতেছে। ভোট গণনা এখনও শেষ হয়নি।
ভাষণে নওয়াজ শরিফ বলেছেন, তিনি তার দেশকে কঠিন সময় থেকে পার করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও দেশকে কঠিন সময় পার করেছি এবং আমরা আবারও তা করতে পারি।’
এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মোট ২১৫টি আসনের অনানুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন।
জিও টিভির তথ্য অনুযায়ী, স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯১টি আসন যার বেশিরভাগই ইমরান খান সমর্থিত। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৬২টি। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী পিপিপি পেয়েছে ৪৮টি আসন। বাকি দলগুলো পেয়েছে মোট ১৪টি আসন।
আইনি বাধার কারণে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশন তাদের দলীয় প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট নিষিদ্ধ করায় একেকজন প্রার্থী ভিন্ন ভিন্ন প্রতীকে ভোটে লড়েছেন।
কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে।
প্রধান তিনটি দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত লড়াই প্রায় সমান হওয়ায় বেশ নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কে সরকার গঠন করতে পারবেন তা নিয়ে এখনও বিশ্লেষকরা কোনো পূর্ভাবাস দিতে পারছেন না।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী আরও ৫১টি আসনের ফল ঘোষণা বাকি আছে এখনও। আর একটি আসনে ভোটের আগের দিন প্রার্থী নিহত হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।