এস এম সাইফুল ইসলাম
আজ, ২ ফেব্রুয়ারি, পঞ্চম আন্তর্জাতিক আল কুদস সপ্তাহ উপলক্ষে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের থাবায় ফিলিস্তিন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সাজিদ ভবনে সকাল ১১টায় এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফিলিস্তিন ওলামা পরিষদের বাংলাদেশী কো-অর্ডিনেটর মাওলানা মুহাইমিনুল হাসান রিয়াদ।
এ সময় মাওলানা রিয়াদ বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের সাথে অসম যুদ্ধের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের চরম উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে। এখনই সময়, ইসরায়েলি বাহিনীকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সম্পূর্ণভাবে উৎপাটন করার জন্য বিশ্ববাসীকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “৭ অক্টোবরের অপারেশনে ফিলিস্তিনি মুক্তিযোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন। এ বিজয়ের ফলে ইসরায়েলি সেনারা লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়েছে।”
বাংলাদেশ সরকারের কাছে তিনি দাবি জানান, পাসপোর্ট থেকে ‘এক্সেপ্ট ইজরায়েল’ শব্দটি পুনরায় সংযোজন করা হোক। তিনি বলেন, “ইসরায়েলের আগ্রাসন শুধু ফিলিস্তিনেই নয়, বরং পুরো মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বাংলাদেশেও তাদের ষড়যন্ত্র চলছে। পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইজরায়েল’ শব্দ দুটি পুনর্বহাল না করা, দেশের স্বাধীনতার প্রতি বিরোধিতা।”
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে ফিলিস্তিন সম্পর্কে সঠিক তথ্য অন্তর্ভুক্তি এবং মসজিদে আকসাকে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার হিসেবে পরিচিতি দেওয়ার দাবি জানান।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রইছ উদ্দীন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ নুরুল্লাহ, এবং ড. আবু তাইয়্যেব মুহাম্মদ নাজমুস সাকিব।
এ সভা থেকে জনগণকে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।