ববি প্রতিনিধি: মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এক ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টার অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সাবেক শিক্ষার্থী শফিকুর রহমান ওরফে শফিক মুন্সির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ এতে বিভাগীয় ও প্রক্টরিয়াল বডির দুটি ভিন্ন ভিন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইউম৷
জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সৈয়দা নাবিলা হাসান (অর্থনীতি- ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযুক্ত শফিক মুন্সির বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর ভয় দেখিয়ে তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন এর জন্য চাপ দেয়াসহ নিজ নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ করার পর থেকে ভুক্তভোগীকে অভিযোগ প্রত্যাহারেও বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে আসছেন অভিযুক্ত শফিক মুন্সি৷
এদিকে প্রক্টরিয়াল বডির তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহফুজ আলমকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী প্রক্টর ফরহাদ উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা মারজিয়া নৌমি।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহফুজ আলম বলেন, তদন্ত কমিটির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে৷ আশা করি সময়ের আগেই প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো৷
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, বিভাগীয় তদন্ত কমিটি রিপোর্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এর মাধ্যমে সমন্বিত ফাইনাল রিপোর্ট আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরের জন্য বলা হয়েছে৷
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইউম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীকে সকল ধরনের সহযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ব্যাতীত অন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কিংবা হলে অবস্থান করতে পারবে না। যদি করে তবে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করবে।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত শফিক মুন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়াও তিনি বরিশালের আঞ্চলিক পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ৪০২১ নম্বর রুম দখল, বিভিন্নভাবে অস্ত্র দেখিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদান, মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে সম্মানহানি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্বারা হেনস্তা করার হুমকি দেয়ার অভিযোগসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।