জনগণ নির্বাচন চায় অবাধ এবং সুষ্ঠু। যেটা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, গাইবান্ধার উপনির্বাচন তার প্রমাণ। এতেই প্রমাণ হয় এই সরকারের হাতে ন্যূনতম ক্ষমতা থাকা অবস্থায় কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি তাদের অক্ষমতাও পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত।
শুক্রবার(১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে
আগামী ২২ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষ্যে খুলনা প্রেস ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে বিভাগীয় বিএনপি আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাকেও যদি নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয়, আমি নিজের ভোটটা দিতে পারব কি না- সন্দেহ। মূল দাবি যদি আমরা আদায় করতে যাই, তাহলে এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। সরকারের পতনটা নিশ্চিত করতে হবে। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পরবর্তীতে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা অতিসত্বর প্রত্যাহার করতে হবে। সরকার নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে পারে। বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসবে। যদি এমন কোনো বাধা অতিক্রম করতে কষ্ট হয়, যেখানে বাধা আসবে, সেখানেই যুদ্ধ করতে হবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জনগণের দাবি নিজের ভোটটি নিজে দিতে চায়। এটা রাজনৈতিক দলের দাবি না, জনগণের দাবি। জনগণ সভা-সমাবেশে আসছেন, এই কারণে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বাধা সত্ত্বেও জনসভায় কিন্তু আশাতিত সফল হচ্ছে।
এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা প্রমুখ।