১২ আগস্ট চারদিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেসম্যান। তাদের একজন রিচার্ড ম্যাকরমিক, রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্য। অপরজন এড কেইস, তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টির কংগ্রেস সদস্য। দুই কংগ্রেসম্যানের সঙ্গে থাকবেন সহায়তাকারী কর্মকর্তারাও। সফরকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন তারা। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও তারা বৈঠকের কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চারদিনের সফরে বাংলাদেশে আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেস সদস্য। তাদের মধ্যে একজন এড কেইস, তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টির কংগ্রেস সদস্য। আরেকজন হলেন রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্য রিচার্ড ম্যাকরমিক।
দুই মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের সফরের কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা মূলত রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সফরে আসবেন। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তাদের বৈঠক হবে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে সফরে দুই মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। নির্বাচনসহ বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইবেন। এছাড়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তারা।
কংগ্রেসম্যানদের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের পাঠাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অর্থ ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে কিনা, তা দেখতে আসছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা অর্থায়নে অন্যতম বড় দাতা। আর এ কংগ্রেসম্যানরা এসব অর্থায়ন কমিটিতে রয়েছেন। তাই তারা দেখবেন তাদের অর্থ কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী ১২ আগস্ট চার দিনের সফরে আসছেন দুই কংগ্রেসম্যান। একজন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক দলের, আরেকজন রিপাবলিকান। তাদের সঙ্গে থাকবেন সহায়তাকারী কর্মকর্তারাও। ১৩ আগস্ট কংগ্রেসম্যানদের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি), জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। পর দিন দুই কংগ্রেসম্যান আরআরআরসি ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পর ঢাকায় এসে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এই সফরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাদের। তবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তাদের বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।