প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার পুনর্ব্যক্ত করেন যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ২০২৩ সালে একটি দুর্ভিক্ষ বিশ্বকে গ্রাস করতে পারে এমন আশঙ্কা করছে। যা এড়াতে বাংলাদেশকে অবশ্যই প্রতি ইঞ্চি জমিতে খাদ্য উৎপাদন, সঞ্চয় ও মিতব্যয়ী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করুন, আমাদের সঞ্চয়ের জন্য যেতে হবে এবং মিতব্যয়ী হতে হবে। আমি আশা করি সবাই সেই ধারা বজায় রাখবেন।’
সাভার সেনানিবাসের সিএমপি সেন্টার ও স্কুলে আয়োজিত হেড কোয়ার্টার ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, ১৫ ও ৪০ ইস্ট বেঙ্গল (মেকানাইজড), ৯ ও ১১ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের (মেকানাইজড) পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন। কারণ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে যে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষের সময় হবে।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশ যেন সেই দুর্ভিক্ষের শিকার না হয়। সেজন্য আমাদের নিজেদের জমিতেই খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। আমাদের সঞ্চয়ের জন্য যেতে হবে এবং কঠোরতা অনুশীলন করতে হবে। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি ইঞ্চি অনাবাদি জমি খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার করা।
তিনি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে যেটুকু জমি আছে সেখানে খাদ্য উৎপাদন করার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও এর ফলস্বরূপ নিষেধাজ্ঞার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ সেখানে খাদ্য সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশও একই অবস্থানে আছে। সে আঘাত ইতোমধ্যেই এখানে অনুভূত হচ্ছে। আমরা এটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার ৩০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণের জন্য এক কোটি মানুষকে কার্ড দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ৩৫ লাখ অসহায় মানুষের কাছে কম দামে ১৫ টাকা কেজি চাল বিক্রি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা কাজ করতে অক্ষম তাদের পরিবারের আকার বিবেচনা করে আমরা প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৪০ কেজি চাল বিনামূল্যে দিচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ব্রিগেড ও রেজিমেন্টের সদস্যদের দ্বারা প্রদর্শিত একটি সুশৃঙ্খল ও সুন্দর কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।