বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হরণ করে নেয়া হয়েছে। একটা ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে, জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে।
তিনি বলেন, সরকার আমাদের দেশনেত্রী, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে রেখেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। তিনি প্রবাসে থেকেও আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন গণতন্ত্রের উদ্ধারের জন্য।’
আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে শ্রদ্ধা ও দোয়া শেষে তিনি একথা বলেন। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল নব-ঘোষিত কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতারা শ্রদ্ধা ও ফাতেহাপাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের অগণিত নেতাকর্মী কারাগারে আছেন। মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছেন। দেশের সত্যিকার অর্থে একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে জনগণের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেই আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দল যেন ভূমিকা পালন করে, যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছে তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায় স্বেচ্ছাসেবক সেবক দল সেই শপথ নিয়েছে। আন্দোলনকে বেগবান করে এই সরকারের পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে। সত্যিকার অর্থে একটি গণতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। এদেশের জনগণকে মুক্ত করবে এই শপথ নিয়েছে।
বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় তাই নির্বাচন করতে চায় না- প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বিশেষ করে এই সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে তাদের যে পুরাতন লক্ষ্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই লক্ষ্যে তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে। জনগণ নির্বাচনে ভোট দিতে যায়নি। সেই রকমভাবেই ২০১৮ সালে নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে করেছে। জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণ সেখানে ভোট দেয়নি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক যে নির্বাচন হয়ে গেল সেখানে ১৪ পার্সেন্ট লোক ভোট দিয়েছে। কারণ জনগণ বোঝে, বিদেশীরা বোঝে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিনই সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে না। এবার জনগণ জেগে উঠেছে। বিশ্বাস করি, এবার জনগণ দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করবে। দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।
সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যাচ্ছি না। বিশেষ করে সিটি নির্বাচনে মেয়র বলেন বা কাউন্সিলর বলেন কোনো পদেই আমাদের দল অংশগ্রহণ করবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল সহ স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দ।