বিএনপি ২০১৩–১৪ সালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। ২০১৮ সালেও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এখনো তারা একই পথে হাঁটছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এই পথে হেঁটে বিএনপির কোনো লাভ হবে না।
বৃহস্পতিবার(২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত নবীনবরণে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এমনটা জানান বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্ততে বলা হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুর রব খান, অধ্যাপক জাভেদ বারী, অধ্যাপক হাসান মাহমুদ রেজা, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ইয়াসমিন কামাল প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা গত কয়েক দিন ধরে দেখছি বাঁশের লাঠি, কাঠের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে মিছিল করছে বিএনপি। তারা অতীতে জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে। গতকালও মুন্সিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এখন তারা নিজেরা আতঙ্কিত হয়ে আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
বিএনপি জানে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই এমনই মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, এমনকি প্রান্তিক কর্মীরাও তাঁদের সঙ্গে নেই। তাদের কর্মসূচি শুধু ঢাকা ও কিছু কিছু শহরভিত্তিক। গ্রামগঞ্জে কর্মীদের কোনো সাড়া নেই। কারণ,নেতাদের ওপর তাঁদের কোনো আস্থা নেই। এ জন্য তারা (বিএনপি) নিজেরা আতঙ্কিত। জনগণ তাদের কাছ থেকে সরে গেছে, সেটি তারা ভালো করেই জানে এবং বোঝে। সে জন্য তারা দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব।কেউ যদি রাষ্ট্রের কোনো এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সেই ব্যবস্থা মাঝেমধ্যে গ্রহণ করে, যখন তারা (বিএনপি) পুলিশের ওপর চড়াও হয়। সে কারণে তারা বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সমাবেশ ভন্ডুল করেছে। এ অবস্থায় আমাদের দলের কর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। কেউ জনগণের ওপর হামলা করলে, জনগণ প্রতিরোধ করলে সঙ্গে আমাদের দলও সহায়তা করবে।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জীবনের পথে বহু যুদ্ধ লড়তে হয়। লক্ষ্যে অবিচল থেকে নিরন্তর সংগ্রাম ও অধ্যবসায় এই জীবনযুদ্ধে বিজয়ের মূল হাতিয়ার। বিশ্ববিখ্যাত শিল্পপতি এন্ড্রু কার্নেগি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। স্টিভ জবস বাল্যকালে প্রতি রোববার সন্ধ্যায় সাত মাইল হেঁটে মন্দিরে যেতেন একবেলা ভালো খাবারের জন্য।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস দুবার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করতে পারেননি জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ফরাসি সেনাপতি নেপোলিয়ন বোনাপার্ট খর্বকায় মানুষ হয়েও বিশ্ব জয় করেছেন।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম বলেছেন, যখন তুমি লক্ষ্যে অটল থাকো, তখন তোমার শরীরে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শক্তি চালিত হতে থাকে তোমার স্বপ্ন জয় পর্যন্ত। তাই জীবনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর একাগ্র পরিশ্রম, জানান ড. হাছান মাহমুদ।