বিএনপির আমলে বিদেশি দাতা দেশগুলো থেকে ভিক্ষার টাকা এনে জড়ো করে বাজেট ঘোষণা করা হতো বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ শুক্রবার (০২ জুন) বেলা ১১টায় আখাউড়া উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমি বাজেট সম্পর্কে আপনাদের একটা ইতিহাস বলি, তা হলো— ২০০৬ সালে বিএনপি সাহেবদের সময়ে বাজেট দিয়েছিলেন ৬৩ হাজার কোটি টাকার প্লাস সামথিং অর্থাৎ ৬৩ হাজার কোটি টাকার একটু বেশি। আর গতকালকে (আওয়ামী সরকার) যে বাজেট ঘোষণা করেছে, তা হচ্ছে— ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, ওনারা (বিএনপি) বাজেট দিতেন দাতা দেশগুলো থেকে ভিক্ষা করে। তখন বিএনপি দাতাদেশগুলোকে বলত ‘ডোনার’। ওনারা ছিলেন বিএনপির ডোনার। আর তাদের মিটিং হতো প্যারিসে, বাংলাদেশে নয়।
আনিসুল হক বলেন, আমি ওই বড় বড় রাষ্ট্রগুলোর নাম বলতে চাই না, দাতাদেশগুলো বিএনপিকে বলত, আপনাকে আমরা কত টাকা ভিক্ষা দেব? তখন কেউ বলত ৫ মিলিয়ন, কেউ বলত ফাইভ হান্ড্রেড মিলিয়ন, এই করে করে সব টাকা-পয়সা একত্রিত করে ভিক্ষার টাকা যখন একসঙ্গে হতো, তখন বোঝা যেত যে কত টাকার বাজেট দেওয়া যেতে পারে। আর ওই বাজেটের মধ্যে লেখা থাকত ৬৩ হাজার কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে ৮০ শতাংশ আসবে (শতকরা ৮০ টাকা) বিদেশ থেকে, আর ২০ টাকা দেবে দেশের জনগণ।
আজ আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছি। আমাদের কেউ আর দাবায়া রাখতে পারবে না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আজকে সেই চিত্র পাল্টে গেছে, গতকালকে আওয়ামী লীগ সরকার ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পরও আমরা বলতে পারি শতকরা ৮৩ টাকা বাংলাদেশের জনগণ দেবে এ বাজেটে। আর মাত্র শতকরা ১৭ টাকা আসবে বিদেশ থেকে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে না। তারা নির্বাচন করতে জনগণের কাছে আসবে না। কারণ নির্বাচন দিলেই তারা বলে, ‘আমরা নির্বাচনে যাব না’। গত নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচন করবে বলেছে। তারপর একেকটা নির্বাচনী এলাকায় ৩ থেকে ৪ জন করে প্রার্থী দিয়ে টাকা নিয়েছে। তারপর বলে নির্বাচন করবে না। নির্বাচন তারা করবে না, নির্বাচন নষ্ট করবে। মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মারবে।
মোগড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুজ্জামান নূর রিফাতের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা, কসবা পৌরসভার মেয়র গোলাম হাক্কানী ও আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ প্রমুখ।