আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির একদফা খাদে পড়ে গেছে। ওই দলের কোমর ভেঙে গেছে। খাদে পড়া দলের দফা বাস্তবায়ন হবে না। গোলাপবাগের গরুর হাটে কোমর একবার ভেঙেছে। এবার সোহরাওয়ার্দীতে গিয়ে পথের মধ্যে হাটু ভেঙে গেছে।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকালে রংপুরের বিভাগীয় সমবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উত্তরবঙ্গের সব মানুষ চলে এসেছে ঢলের মতো রংপুর শহরে। সাম্প্রতিককালের এটাই হচ্ছে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশ।
আজকে খেলা শুরু হলে শেষ করতে পারবো না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে। মজাদার খেলা হবে। সময় বেশি নেই। ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। পারবে না। পারবে না। বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে গেছে। ওই দলের কোমর ভেঙে গেছে। ওই দল আর পারবে না। খাদে পড়া দলের দফা বাস্তবায়ন হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের প্রধান নেতা তারেক রহমান? সে কি ইলেকশন করতে পারবে? ২০ বছরের সাজা অর্থপাচারের অপরাধে। মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে চলে গেছে। সেই হলো তারেক রহমান। আজকে আবার কত বছরের সাজা হয় জানি না। সম্পদ লুকানোর মামলার রায় আজ। কত বছরের সাজা হয় জানি না।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, আরেক নেতা কে? খালেদা জিয়া। নির্বাচন করার যোগ্যতা কি তার আছে? এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে আজকে কনভিকশন নিয়ে নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। যুবরাজও শেষ, দেশনেত্রীও শেষ। কে বিএনপির নেতা। কার নেতৃত্বে…। আমরা তো ঘোষণা দিয়েছি। আমাদের নির্বাচনের নেতা শেখ হসিনা। আমাদের আন্দোলনের নেতাও শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের শিকড় মাটির অনেক গভীরে উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতা বাংলাদেশের জনগণের ক্ষমতা। এই জনতা আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের মানুষের শক্তি। আমরা পালাবো না। পালিয়েছে আপনাদের নেতা। তারেক রহমান কি পালায়নি? কোথায় পালিয়েছে? কবে আসবে? কে জানে? আসবে? সাহস নেই। আসলে তো জেলে যেতে হবে। সাহস থাকলে তো আসেন। রাজপথে খেলা হবে। মোকাবিলা হবে। রাজপথেই ফায়সালা হবে। আপনারা তো ফয়সালা করবেন বলেছেন, করতে পারেননি। আমরা রাজপথেও আছি। নির্বাচনেও আছি। যারা রাজপথে হেরে গেছেন। তারা নির্বাচনেও হেরে যাবেন।’
তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা উল্লেখ করে কাদের জানান, মামলার রায় কিছুক্ষণ আগে ঘোষণা হয়েছে। তারেক রহমান দুই মামলায় ৯ বছর, আর তার স্ত্রী জোবাইদার দেড় বছর করে তিন বছর রায় হয়েছে।