রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এছাড়াও এই ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ১০ জন।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল ৪টায় ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান রুমি গণমাধ্যমকে জানান, বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে রাস্তায় শটগানের গুলিতে আহত হয়ে পড়েছিলেন ওই যুবক। তখন তাকে কয়েকজন মিলে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যান আসেন তারা। তার নাম মকবুল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে, সকাল থেকেই নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন এই সংঘর্ষ শুরু হলো। আজ সকাল থেকেই পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। একপর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে।এতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পল্টন এলাকা। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এরপর আজ সকালেও তাদের অবস্থান নেয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় সংঘর্ষ।