বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা চলছে। আমাদের অনেককেই নির্বাচনের পূর্বে সাজা দিয়ে তারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেটা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং ইন্দো-প্যাসেফিক কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের (বিএনপির) প্রায় ৭০০ তরুণ-যুবক, তার মধ্যে তিনজন সংসদ সদস্য ছিলেন, তাদেরকে গুম করা হয়েছে। আমাদের প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের (নেতা-কর্মী) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা চলছে। আমাদের অনেককেই নির্বাচনের পূর্বে সাজা দিয়ে তারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেটা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশের সব রাজনৈতিক দল এক হয়েছে।
আজকে আমরা সবাই এ দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে হয়েছি এবং একটা দফার মধ্যে এসেছি। এই রেজিমের (সরকার) পদত্যাগ। আমরা একটা স্বচ্ছ, অবাধ নির্বাচন চাই বলে নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার চাই। এই সময়টা জাতির জন্য সবচাইতে একটা সংকটময় সময়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের পক্ষে তার সারাটা জীবন দিয়েছেন, তিনি আজকে অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় এই শাসকগোষ্ঠীর চরম প্রতিহিংসার কারণে বিনা চিকিৎসায় মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত অবস্থায় রাখা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমি মনে করি, আমরা আজকে যেভাবে ঐক্য হয়েছি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আমাদের সেই দাবি অর্জন করতে পারব। আমরা বিশ্বাস করি যেটা সবসময় বাংলাদেশের মানুষ তারা প্রমাণ করেছে যে, জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মধ্য দিয়ে, চেষ্টার মধ্য দিয়ে সবসময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন জয়ী হয়েছে। আমরা এবারও বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, এই সরকার এই অবস্থা তৈরি করেছে, এর একটাই কারণ। যেন বিরোধী দল নির্বাচনে না আসতে পারে, নির্বাচনে না যোগ দিতে পারে, যেখানে একমাত্র আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় যাবে, শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় যাবে।