ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রতিবছরের ন্যায় হলগুলোতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। তবে এবারের আয়োজনে উঠে এসেছে শিক্ষার্থীদের ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ হলগুলোতে ইসরায়েল সমর্থিত কোম্পানির পানীয় বয়কটের বিষয়টি উঠে এসেছে শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে।
পাকিস্তানি হানাদারদের গণহত্যা আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে ছিনিয়ে আনা বিজয়ের দিনে অন্য আরেকটি দেশের নিপীড়িত জনগনের প্রতি সংহতি জানাতে কর্তৃপক্ষকে এমন আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আসিফ বিল্লাহ বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জনগণের উপর যে নির্মম আর অমানবিক অত্যাচার চালাচ্ছে তা অব্যশই মানবতাবিরোধী অপরাধ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের ওপর এরকমই হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাই বিজয়ের এই ৫২তম বছরে প্রতিবাদস্বরূপ ইসরায়েলকে সমর্থন যোগানো কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কট করে আমরা বিকল্প পণ্য ব্যবহার করতে পারি।
একই হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী শামীম আহসান বলেন, আবাসিক হল কর্তৃক বিজয় দিবসের প্রীতিভোজে দখলদার আগ্রাসী ইসরায়েলি পানীয় আমরা বর্জনের মাধ্যমে বিজয় দিবসে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে চাই। পাশাপাশি তাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি, অন্যায়ভাবে আক্রমণ-হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি চাই। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতেও ইসরায়েলি পানীয় বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান করছি।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আরিফ হোসেন জানান, শিক্ষার্থীরা এমন কোন দাবি আমাদের কাছে আগে করেনি। ইতিমধ্যে আমরা কোমল পানীয় কিনে ফেলেছি এখন আর পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের গতকাল ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি জেনে আমি আজকে সকালে কথা বলেছি খাবার সাপ্লায়ারদের সাথে কিন্তু ইতিমধ্যে তারা কোমলপানীয় ক্রয় করেছে। আজকে যেহেতু শুক্রবার অফিস বন্ধ এজন্য তারা একদিন আগে বৃহস্পতিবার ক্রয় করেছে। পরিবর্তন করতে পারলে আমারও ভালো লাগতো কিন্তু এবার হয়তো হবে না। আগামীবার থেকে ইসরায়েলি কোমলপানীয় দেওয়া হবে না।