সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও বর্তমান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও সাবেক চীফ হুইফ আ স ম ফিরোজ এমপির ৭৫’এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনায় ভূমিকা নিয়ে দেওয়া বিতর্কিত বক্তব্যটি প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিচালক মো.হুমায়ুন কবির।
বিষয়টি ২২ আগস্ট ( মঙ্গলবার) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ বাহাউদ্দিন গোলাপ ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ তানজীদ হোসেন স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিচালক মো.হুমায়ুন কবির তার বক্তব্যে জাতীয় নেতা জনাব তোফায়েল আহমেদ এমপি ও আ স ম ফিরোজ এমপি সম্পর্কে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য এবং ট্রেজারার মহোদয় অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। মোঃ হুমায়ুন কবিরের বক্তব্যের সাথে সাথে মঞ্চে বসা উপাচার্য মহোদয় এজাতীয় বক্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য তাকে নির্দেশ দেন এবং তিনি বক্তব্যে শেষ করেন। সভা শেষে উক্ত বক্তব্য নিয়ে কতিপয় কর্মকর্তাদের মধ্যে বাকবিতান্ডার সৃষ্টি হয়। বিতর্কিত বক্তব্যটি একান্তই বক্তার ব্যাক্তিগত, এর সাথে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশনের কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, শোকার্দ্র আগস্ট স্মরণে গত ২১শে আগস্ট (সোমবার) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিচালক মো.হুমায়ুন কবির সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও বর্তমান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও সাবেক চীফ হুইফ আ স ম ফিরজকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনায় দায়ী করে খন্দকার মোসতাক বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
পরিচালক হুমায়ুন কবির তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের ভিতরে মোস্তাকরা আছে। এই মোস্তাকদের চিহ্নিত করুন। ১৫ আগস্ট যে হত্যাকান্ড হলো আমাদের রক্ষিবাহিনীর প্রধান কে ছিল। আপনার কি জানেন? তোফায়েল আহমেদ। এখন উনি বলেন আমি ছিলাম না। মোস্তাক শুধু তো মোস্তাক নয়, হত্যার পর বরিশালে উৎসব করেছিল আ স ম ফিরোজ।’
পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার এই বিতর্কিত বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পর অসন্তোষের সৃষ্টি হলে তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্যটি প্রত্যহার করেন।